
স্ক্যাবিস হলো এক ধরনের ছোঁয়াচে চর্মরোগ যা Sarcoptes scabiei var. hominis নামক এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা হয়ে থাকে। এই পরজীবী বা মাইট ত্বকের উপরিভাগে গর্ত করে ডিম পাড়ে, যার ফলে শরীরে তীব্র চুলকানি ও লালচে র্যাশ দেখা দেয়।
বিশ্বজুড়ে যে কোনও সময় প্রায় ২০ কোটি মানুষ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত থাকে। এটি মূলত গরম ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে বেশি দেখা যায়।
স্ক্যাবিস সাধারণত একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের ত্বকের সংস্পর্শে এলে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও, একই পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে, বিশেষ করে “ক্রাস্টেড স্ক্যাবিস” বা মারাত্মক রূপের ক্ষেত্রে।
এটি স্কুল, হোস্টেল, বৃদ্ধাশ্রম বা শরণার্থী শিবিরের মতো ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
সাধারণত আঙুলের ফাঁক, কবজি, কনুই, কোমরের চারপাশ, বগল ও যৌনাঙ্গের এলাকায় স্ক্যাবিস বেশি দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা, মুখ, হাতের তালু ও পায়ের পাতায়ও লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
সঠিক চিকিৎসা না হলে স্ক্যাবিস থেকে নিচের মতো সমস্যা হতে পারে:
ডাক্তাররা সাধারণত চর্ম পরীক্ষা করেই স্ক্যাবিস শনাক্ত করতে পারেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্বকের স্ক্র্যাপিং নিয়ে মাইক্রোস্কোপে মাইট বা ডিম দেখা হতে পারে।
স্ক্যাবিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়:
একজন রোগী আক্রান্ত হলে তার পরিবারের সকল সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের একসাথে চিকিৎসা নেওয়া উচিত, না হলে পুনরায় সংক্রমণ হতে পারে।
স্ক্যাবিস প্রতিরোধে করণীয়:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্ক্যাবিসকে একটি উপেক্ষিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ (Neglected Tropical Disease – NTD) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি দরিদ্র ও অবহেলিত অঞ্চলে মানুষের দেহে ও মনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এ রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং সহজলভ্য চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব।
বিশদ তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: WHO এর অফিসিয়াল স্ক্যাবিস পৃষ্ঠা