আলোকবালী

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৫ কোটি ডলার চায় জাতিসংঘ

বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের অনেকেই ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের হাত থেকে পালিয়ে এসেছিল।

বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও অনুদান চেয়েছে জাতিসংঘ।

সংকট মোকাবেলায় বার্ষিক সাড়াদান পরিকল্পনায় জাতিসংঘ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য ৮৫২.৪ মিলিয়ন ডলারের আবেদন করেছে।

বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের অনেকেই ২০১৭ সালে সশস্ত্র বাহিনীর নৃশংস অভিযানের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিল। তিন বছরেরও বেশি সময় আগে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেখানে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে তীব্র লড়াই চলছে যেখানে দেশের অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই নোংরা শিবিরে বাস করে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ শতাংশই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

এতে বলা হয়, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি এবং শরণার্থী সুরক্ষা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।

গত বছর জাতিসংঘও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার জন্য দেশগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু সেখানে মাত্র ৪৪০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল।

ইউএনএইচসিআর সতর্ক করে দিয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য তহবিল ঘাটতি ‘গুরুতর প্রভাব’ ফেলেছে।

অনেক শরণার্থী তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে লড়াই করছে উল্লেখ করে সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘টেকসই সহায়তা জরুরি ও জরুরি প্রয়োজন।

শরণার্থীদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, তারা ‘নির্যাতন, শোষণ ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার উচ্চ ঝুঁকির’ মুখোমুখি হচ্ছে।

ইউএনএইচসিআর বলছে, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া অর্ধেকের বেশি শরণার্থীর বয়স ১৮ বছরের নিচে, যারা শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবিকার সীমিত সুযোগের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অনুদান খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, পানীয় জলের অ্যাক্সেস, সুরক্ষা পরিষেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য সহায়তার জন্য ব্যয় করা হবে।

শিবিরের পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চাওয়া অনেক রোহিঙ্গা মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় বিপজ্জনক, প্রায়শই প্রাণঘাতী নৌকা যাত্রার চেষ্টা করেছে।

এদিকে, ২০১৭ সালের অভিযানকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের গণহত্যার তদন্তের মুখে থাকা মিয়ানমারে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধে নেমে গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক চলতি মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেন, ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্ব রাজনীতির স্পটলাইট থেকে অন্তহীন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

Calendar

March 2025
S M T W T F S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

Related

আলোকবালী
আলোকবালী.কম একটি অনলাইন সংবাদপত্র যা শিক্ষা, চাকরি, প্রযুক্তি এবং আরও অনেক কিছু কভার করে। আলোকবালী.কম এমন একটি ওয়েবসাইট যা আপনি সর্বশেষ সংবাদ পেতে, নতুন জিনিস শিখতে, দরকারী টিপস সন্ধান করতে বা কিছু মজা করতে পরিদর্শন করতে পারেন। আলোকবালী.কম এমন একটি ওয়েবসাইট যা আপনি বিশ্বাস করতে এবং উপভোগ করতে পারেন।
অনুসরণ করুন

আমরা আপনার ডেটার সুরক্ষা সম্পর্কে যত্নশীল। আমাদের গোপনীয়তা নীতি পড়ুন।

কপিরাইট © ২০২৪ আলোকবালী। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সম্পাদক ও প্রকাশক: আওলাদ হোসেন।