
বাংলাদেশের বিতর্কিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেটিকে অনেকেই অবৈধ বলে মনে করেন, এখন বিদেশে অবস্থানরত কূটনৈতিক মিশনগুলোতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে—যেটি তাদের কথিত বৈধতা প্রতিষ্ঠার একটি প্রচ্ছন্ন কৌশল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা দেওয়া না হলেও, বাংলাদেশ মিশনগুলো বেশ কয়েক মাস ধরেই “জিরো পোর্ট্রেট পলিসি” অনুসরণ করছে।
একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“লিখিতভাবে কিছু বলা হয়নি, তবে নির্দেশনা বোঝার জন্য কখনো কখনো কাগজ লাগে না।”
তিনি আরও জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পরিবর্তনের পর দুইটি ধাপে কাজটি হয়েছে। প্রথমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরানো হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মিশনের প্রধানদের সঙ্গে জুম মিটিংয়ে ‘ইঙ্গিত’ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন,
“যখন মন্ত্রণালয়ে কোনো ছবি দেখা যায় না, তখন সেটাই মূল বার্তা হয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতির ছবিও সরিয়ে ফেলা হয় কয়েক মাস আগে।”
একই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংক্ষিপ্তভাবে ‘হ্যাঁ’ বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“যা বলা হচ্ছে, তা মৌখিকভাবেই।”