“ভারতের ক্রীড়া ইভেন্টে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের নীতি আমাদের সামগ্রিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন। একে অপরের দেশে দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়া ইভেন্টে ভারতীয় দল অংশ নেবে না। পাকিস্তানকেও ভারতে খেলতে দেওয়া হবে না। তবে আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক ইভেন্টে আমাদের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার নীতি ও আমাদের ক্রীড়াবিদদের স্বার্থের ওপর নির্ভর করবে।”
এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে বয়কটের দাবি বাড়তে থাকে যখন মঙ্গলবার বিসিসিআই (BCCI) এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা করে। এর আগে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত লেজেন্ডস টুর্নামেন্টে ভারতীয় দল পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের বিরুদ্ধে গ্রুপ ম্যাচ ও সেমিফাইনাল খেলেনি। স্পনসর EaseMyTrip সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। এই ঘটনাগুলো নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয় যে ভারত সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা বন্ধ করবে কিনা।
সরকার দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ইভেন্টের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করেছে। এর ফলে ভারতীয় দল পাকিস্তানের অংশগ্রহণে কোনো বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে আইসিসি (ICC) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC)-এর প্রতিযোগিতা। একইভাবে পাকিস্তান দলও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বহুপাক্ষিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে।
ভারত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন বাড়াতে চায়। এজন্য সরকার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে:
“আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের জন্য ভারতকে পছন্দের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে খেলোয়াড়, টিম অফিসিয়াল, টেকনিক্যাল পারসোনেল এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।”
আবার বলা হয়েছে:
“আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের জন্য তাদের অফিসিয়াল মেয়াদকাল পর্যন্ত, সর্বোচ্চ ৫ বছরের জন্য, মাল্টি-এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হবে।”
ভারত বিশ্ব ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই ভারতীয় দলগুলো এমন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে যেখানে পাকিস্তানের মতো দল অংশ নেয়। একইভাবে পাকিস্তানি খেলোয়াড় ও দলও ভারতের আয়োজিত বহুপাক্ষিক টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে।
এই ঘোষণার ফলে এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল তা দূর হয়েছে। ৮ দলের এশিয়া কাপ আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠিত হবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচও এই সূচির অংশ।