
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে গেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে হামলা ও সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে পাকিস্তানে ৫০২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অন্তত ৭৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ২৮৪ জন এবং সাধারণ নাগরিক ২৬৭ জন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মৃত্যুর হার ১২১% এবং আহতের হার ৮৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীন দীর্ঘদিন ধরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু নিরাপত্তা সংকটের কারণে এই প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। ফলে চীন কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তান ও তালিবানকে কাছাকাছি আনতে চাইছে।
যদিও চীনের প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট সুযোগ আছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কেবল অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নিরাপত্তা আস্থা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে।
বিষয় | বিশদ |
---|---|
নিরাপত্তা অবস্থা | ২০২৫-এর প্রথম ৬ মাসে হামলা ৫% বৃদ্ধি, মৃত্যু ১২১% বৃদ্ধি (Al Jazeera) |
চীনের উদ্দেশ্য | BRI/CPEC সফল করতে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি (Al Jazeera, Wikipedia) |
মধ্যস্থতা সম্ভাবনা | চীন-র কাছে প্রয়োজনীয় প্রভাব আছে, কিন্তু সে গ্যারান্টর হতে চায় কি না, তা অনিশ্চিত (Al Jazeera) |
চীন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কিন্তু বাস্তবিক পরিবর্তন আনতে হলে সবার আগে নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং কূটনৈতিক সদিচ্ছা নিশ্চিত করতে হবে।