মাত্র কয়েকদিন আগের কথা — সত্যি বলতে সাত দিনেরও কম সময় আগে — এমনই একটা ঘটনা আবার ঘটল।
আমার গার্লফ্রেন্ড একজন ইউরোলজিস্ট। তাকে জরুরিভাবে ডাকা হয়, কারণ একজন নারী রোগী খুবই অসুস্থ বোধ করছিলেন এবং অদ্ভুতভাবে তার যোনিপথ দিয়ে মল বের হচ্ছিল।
এই রোগী আসছিলেন একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের (OB/GYN) কাছ থেকে, তাই আমার গার্লফ্রেন্ড প্রথমে ওখানেই খোঁজ নেন। তিনি রোগী পরীক্ষা করেই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বুঝে যান কী ঘটেছে — আবারও সেই একই বিপর্যয়।
অপারেশন করে দেখা যায় রোগীর ভেতরে একটি Rectovaginal Fistula তৈরি হয়েছে — অর্থাৎ তার যোনি ও মলদ্বারের মাঝখানে একটি প্রকৃত গর্ত হয়ে গেছে। যার ফলে মল যোনিপথে প্রবেশ করছে এবং শরীর থেকে ভুল পথে বেরিয়ে যাচ্ছে।
ভয়াবহ ব্যাপার হলো — এই গর্তটি সৃষ্টি করেছে সেই OB/GYN নিজেই, তার অপারেশনের মারাত্মক অবহেলার কারণে। তিনি এতটাই অপটু যে, তার ব্যর্থতা এর আগেও একাধিক রোগীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
এই ডাক্তার বারবার এমন অপারেশনে হাত দেন যেগুলোর জন্য তার যথেষ্ট দক্ষতা নেই। পরে ইউরোলজিস্ট বা জেনারেল সার্জনদের ডাকতে হয় সেই রোগীদের বাঁচাতে — কখনো অপারেশনের মাঝেই, আবার কখনো ১-২ দিন পরে।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তিনি কখনো থামেন না। নিজের অপারেশন দক্ষতা নিয়ে একটুও সংশয় প্রকাশ করেন না। একই ভুল বারবার করেও, রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েও, আবার নতুন রোগী নিয়ে অপারেশন শুরু করেন।এবং দুর্ভাগ্যবশত, তিনি একা নন।
অনেক (যদিও সবাই না) স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞই একই ধরণের আচরণ করেন। তাদের অনেকেরই শরীরের জ্যামিতিক ও শারীরবৃত্তীয় গঠন সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত, এবং জটিল সার্জারিগুলোর ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতাও কম।
এই কথাগুলো সাধারণ মানুষ জানে না — কেননা এটাই হাসপাতালের “হাশ হাশ সিক্রেট”।
আমার গার্লফ্রেন্ডের সহকর্মী আরও ভয়ংকর — এমন অনেক OB/GYN আছেন যারা রোগীদের শারীরিক ক্ষতি করার পরেও দায় স্বীকার করেন না, বরং আবারও সার্জারিতে লিপ্ত হন। আর প্রতিবারই নতুন কেউ হয় শিকার।
তাহলে কি এইসব অপটু ডাক্তারদের কোনো জবাবদিহিতা নেই?
আসলে অনেক দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় “প্রটেকশন” বা নিজেদের এক ধরনের গোপন চুক্তি চলে। কোনো ডাক্তার অন্য ডাক্তারকে সরাসরি দোষারোপ করেন না, কিংবা মেডিক্যাল বোর্ড থেকেও বহু সময় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, যতক্ষণ না জীবন-মৃত্যুর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
আপনি কী করতে পারেন?
তথ্যসূত্র:
“Treatise on Gynæcology: Medical and Surgical” — S. J. Pozzi ও B. H. Wells, 1891, New York: W. Wood. Wellcome Library (© পাবলিক ডোমেইন)
#স্বাস্থ্যসচেতনতা #চিকিৎসারভুল #ডাক্তারদেরগোপন #বাংলাদেশেরহাসপাতাল #রোগীসচেতনতা #OBGYNবিপদ #RectovaginalFistula #স্বাস্থ্যসেবা #medicalmalpractice #BangladeshHealth